Augrodut Fusion
Program
Physics
পদার্থবিজ্ঞান শব্দটি (ইংরেজী ভাষায়: Physics) গ্রিক শব্দ φυσική (ফুসিস) হতে উদ্ভূত যার অর্থ প্রকৃতি সংক্রান্ত বিজ্ঞান) বিজ্ঞানের একটি প্রধান শাখা। পদার্থবিজ্ঞান প্রাকৃতিক বিশ্বের বিজ্ঞান। মহাবিশ্বের সব মৌলিক উপাদান, তাদের মধ্যে বিদ্যমান বলসমূহ এবং এর ফলে উদ্ভূত ঘটনাবলিকে বিশ্লেষণ করাই পদার্থবিজ্ঞানের প্রতিপাদ্য বিষয়। সহজ বাংলায় বলতে গেলে, পদার্থবিজ্ঞান হল সেই বিজ্ঞান যার লক্ষ্য আমাদের চারপাশের বিশ্বকে বোঝার চেষ্টা করা।
আমরা যদি এই বিষয় নিয়ে কথা বলতে যাই তাহলে মনে হয় কথা কখনোই শেষ হবে না । এর বিস্তৃতি মহাবিশ্বের মতই দিন দিন প্রসারিত হচ্ছে । ক্ষুদ্র পরমানু থেকে দূরতম গ্যালাক্সি কোথায় নেই পদার্থবিজ্ঞানের ছোয়া !! চল দেখা যাক আসলে কি কি পড়ানো হয় বা কি কি করা যায় পদার্থবিজ্ঞান পড়ে
পদার্থবিজ্ঞানের কেন্দ্রীয় তত্ত্বসমূহঃ
চিরায়ত বলবিজ্ঞান ,ধারাবাহিক বলবিজ্ঞান তাড়িতচৌম্বক তত্ত্ব • সাধারণ আপেক্ষিকতা • কোয়ান্টাম ক্ষেত্র তত্ত্ব • কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞান • বিশেষ আপেক্ষিকতা • মান প্রতিরূপ • পরিসাংখ্যিক বলবিজ্ঞান • তাপগতিবিজ্ঞান
পদার্থবিজ্ঞানের প্রধান ক্ষেত্রসমূহঃ
জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান • পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞান • ঘনীভূত পদার্থ পদার্থবিজ্ঞান • আণবিক পদার্থবিজ্ঞান • নিউক্লীয় পদার্থবিজ্ঞান • আলোকবিজ্ঞান • কণা পদার্থবিজ্ঞান • প্লাজমা পদার্থবিজ্ঞান
প্রধান ক্ষেত্রগুলোর প্রান্তসীমায় অবস্থিত জ্ঞানের শাখাসমূহঃ
বায়ুমণ্ডলীয় পদার্থবিজ্ঞান • জৈব পদার্থবিজ্ঞান • রাসায়নিক পদার্থবিজ্ঞান • গণনামূলক পদার্থবিজ্ঞান • প্রকৌশল পদার্থবিজ্ঞান • ভূ-পদার্থবিজ্ঞান • গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞান • চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান • ন্যানোপ্রযুক্তি • বিশৃঙ্খলা তত্ত্ব • জটিল সংশ্রয়
এখন দেখা যাক তুমি যদি এ বিষয় পড় তাহলে তোমার ভবিষ্যৎ কি হবে?? সবাই তো ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টে পড়তে চায়। কিন্তু তুমি কি কখনো ভেবে দেখেছ এই সাবজেক্টগুলার উৎপত্তি কোথা থেকে ?? হ্যা, আসলে ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টগুলা এই পদার্থবিজ্ঞানেরই ফলিত শাখা ।পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে পড়তে আসা স্টূডেন্টদের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ঠ্য হলো গানিতিক দক্ষতা,উচ্চতর সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা এবং যে কোন বিষয় সম্পর্কে সহজে বুঝতে পারার ক্ষমতা,যা তাদের পরবর্তী জীবনে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
এবার আসা যাক চাকরির বিষয়ে।দেশের কথা বললে বর্তমানে বাংলাদেশ শিক্ষকতা পেশায় সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন বিভাগ পদার্থবিজ্ঞান।সেটা ইউনিভার্সিটি হোক,কলেজ হোক আর স্কুল হোক।বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সবখানেই প্রকৌশল বিষয় পড়ানো হয়।সেখানে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আবশ্যক।এছাড়া পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে পড়াশোনা করে চাকরিক্ষেত্রেও নিজেকে বিকশিত করবার অনেক সুযোগ থাকে। জগতের সবচেয়ে বড় গবেষণা সংস্থাগুলোতেও(CERN,NASA) কাজ করেছে এই বিভাগের শিক্ষার্থীরাই। আর একটা কথা পদার্থবিজ্ঞান পড়ে পরবর্তিতে যে কোন সাবজেক্টে পড়ার সুযোগ পাওয়া যায় যা অন্য কোন সাবজেক্ট থেকে যায় না । অর্থাৎ তোমার জন্য সকল জানালা খোলা ।
আর একটা কথা , জীবনতো একটাই, কেন আমরা এই জীবনকে কেবল ক্ষুদ্র চাকুরীর চিন্তায় আবদ্ধ রাখবো? নিজেকে জিজ্ঞেস করো, তোমার মস্তিষ্কটাকে কি এইভাবেই বৃথা যেতে দিবে? তাকে কি দেখতে দিবে না কি অসাধারণ প্রতিসাম্য(Symmetry) বিরাজমান এই জগতে? তাকে কি কাজে লাগাবে না মহা একীভূত ক্ষেত্রতত্তের(Grand Unified Field Theory) দিকে আগাতে? আর একটা কথাই বলব, পদার্থবিজ্ঞান পড়ে কেউ না খেয়ে মরবে না, এতটুকু জেনে রেখো ।
তুমি যখন প্রকৃতির গভীরতর বর্ণনা ও এর রহস্যময় রূপ সম্পর্কে জানবে তখন তুমি যে আনন্দটা পাবে তার কাছে সকল আনন্দই অর্থহীন মনে হবে । যারা এই অসীম আনন্দের স্বাদ পেতে ইচ্ছুক তাদেরকে পদার্থবিজ্ঞানের রাজ্যে স্বাগতম ...।
লেখাঃ হাসিব মেহেদী পরশ (২০১৩ ব্যাচ)